কক্সবাজারে ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় মোহাম্মদ ইসমাইল নামে এক ব্যবসায়ীকে ইয়াবার কারবারি সাজিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে মামলার বাদী ও তদন্তকারী তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. মোশারফ হোসেন।

বৃহস্পতিবার সকালে এ সংক্রান্ত একটি আদেশের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন আদালত। পাশাপাশি ভিকটিমকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, ‘এ রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে, বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে।’

রায়ে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হাসাইন্নার টেক গ্রামের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসমাইলকে আটক করে টেকনাফ থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, ইসমাইল একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী। ওইদিন রাত দেড়টায় তাকে আটক করে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়। তার ডান পায়ে গুলিও করা হয়। এর ফলে তার ডান পা কেটে ফেলা হয়েছে। পরে আহত মোহাম্মদ ইসমাইলের বিরুদ্ধে তিন হাজার ইয়াবা, দুটি অস্ত্র এবং পুলিশকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওই তিন মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতের প্রকাশিত রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলা চলাকালীন বাদীপক্ষের সাক্ষী ও জেরায় মোহাম্মদ ইসমাইলের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার সম্পৃক্ততা, তার কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার ও পুলিশকে হত্যাচেষ্টার কোনো সত্যতা পায়নি আদালত।

এর আগে গত ১ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী ইসমাইলকে নির্দোষ উল্লেখ করে মামলা থেকে খালাস দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ-৪ আদালতের বিচারক মো. মোশাররফ হোসেন।

আজ বৃহষ্পতিবার এ মামলার পূর্ণাঙ্গ আদেশে বলা হয়, মামলার বাদী উপপরিদর্শক (এসআই) মাশরুরুল হক, তিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাসুদ আলম চৌধুরী, এসআই ওমর ফারুখ ও এসআই সরুজ রতন আচার্য্য ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসমাইলকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন। এই চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে বেঞ্চ সহকারীকে নির্দেশ দেন আদালত।